জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১৮

রেজিস্ট্রাড নং ডি এ-১
বাংলাদেশ গেজেট
অতিরিক্ত সংখ্যা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত
বৃহস্পতিবার, মার্চ ৮, ২০১৮
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার বিভাগ
প্রজ্ঞাপন
তারিখ: ২৩ ফাল্গুন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ/৭ মার্চ, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ

এস,আর,ও নং ৭৯-আইন/২০১৮ ।—জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ২৯ নং আইন) এর ধারা ২৩ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার নিম্নরূপ বিধিমালা প্রণয়ন করিল, যথা:—

প্রথম অধ্যায় (সাধারণ)

১। শিরোনাম ও প্রয়োগ ।—(১) এই বিধিমালা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে।

(২) এই বিধিমালা বাংলাদেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহের জন্য প্রযোজ্য হইবে।

২। সংজ্ঞা ।—(১) বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোন কিছু না থাকিলে, এই বিধিমালায়—

(১) “আইন” অর্থ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ২৯ নং আইন);

(২) “স্থানীয় কর্তৃপক্ষ” অর্থ আইনের ধারা ২০ এ উল্লিখিত কর্তৃপক্ষ;

(৩) “হাসপাত কার্ড” অর্থ সত্যায়িত টিকা কর্মসূচির অওতায় টিকা প্রদানের সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মী কর্তৃক ইস্যুকৃত কার্ড;

(২৮৮১) মূল্য : টাকা ৪০.০০

(৪) “নিবন্ধক চিকিৎসক” অর্থ বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত এমবিবিএস বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রীধারী কোন চিকিৎসক;

(৫) “চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান” অর্থ সরকারি বা বেসরকারি কোন হাসপাতাল, ক্লিনিক, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মাতৃসদন ও কমিউনিটি ক্লিনিক;

(৬) “জন্ম নিবন্ধন নম্বর” অর্থ ১৭ (সতের) অক্ষরের একক পরিচিতি নম্বর যাহা প্রতিটি ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধনের জন্য নিম্নবর্ণিত ক্রমানুসারে নির্ধারিত হইবে, যথা:—

(ক) প্রথম ৪ (চার) টি অঙ্ক জন্ম সনের খ্রিষ্টাব্দ সন অনুসারে ৪ (চার) অক্ষরে সংখ্যা;

(খ) পরবর্তী ২ (দুই) অঙ্ক বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক নির্ধারিত জেলা কোড, তবে বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহের ক্ষেত্রে ০০;

(গ) পরবর্তী ১ (এক) অঙ্ক বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক নির্ধারিত জনসংখ্যা (RMO) কোড, (যথা:- ইউনিয়ন পরিষদের জন্য ১, পৌরসভার জন্য ২, পৌরসভার মধ্যে একাধিক উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে বা ইউনিয়ন পরিষদ অবস্থিত উহার জন্য ৩, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের জন্য ৫, সিটি করপোরেশনের জন্য ৯ এবং বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহের জন্য ০);

(ঘ) পরবর্তী ২ (দুই) অঙ্ক ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক নির্ধারিত উপজেলা কোড, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের ক্ষেত্রে যথাক্রমে, পৌরসভা কোড, সিটি করপোরেশন কোড ও ক্যান্টনমেন্ট কোড এবং বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহের ক্ষেত্রে দূতাবাসটি যেই ব্যাংকে অবস্থিত সেই ব্যাংকের জন্য স্বাইফট কর্তৃক ধার্যকৃত ৩ (তিন) অক্ষর কোড;

(ঙ) পরবর্তী ২ (দুই) অঙ্ক বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক নির্ধারিত ইউনিয়ন কোড (ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে), ওয়ার্ড কোড (পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের ক্ষেত্রে) এবং বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের অধীনে স্থাপিত কনসুলেটসহ উভয়ের স্থাপনার ধারাবাহিকতার ১ (এক) অক্ষর কোড;

(চ) সর্বশেষ ৬ (ছয়) অঙ্ক ব্যক্তির ক্রমিক নম্বরের জন্য ধারাবাহিক সংখ্যা এবং ******* সংখ্যা অতিক্রম করিবার পর পুনরায় ০০০০০১ সংখ্যা হইতে শুরু হইবে;

ব্যাখ্যা ।—দফা (৭) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও অন্য কোন প্রয়োজনে জন্য নিবন্ধন নম্বর কম বা বেশি হইতে পারিবে;

(৭) “জাতীয় পরিচয়পত্র” অর্থ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩ নং আইন) এর অধীন প্রদত্ত জাতীয় পরিচয়পত্র;

(৮) “টিকা কেন্দ্র” অর্থ সত্যায়িত টিকা কর্মসূচির কোন আউট রিচ সেন্টার বা এমনঃও ক্লিনিক বা ম্যাটারনিটি ক্লিনিক বা কমিউনিটি ক্লিনিক যাহা সত্যায়িত টিকা কর্মসূচির উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত এবং যেখানে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মীগণ টিকা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করিয়া থাকেন;

(৯) “পরিচয়হীন ব্যক্তি” অর্থ এইরূপ ব্যক্তি যাহার পিতা বা মাতা বা উভয়ের নাম ও পরিচয় বা অভিভাবক বা আত্মীয়-স্বজন অজ্ঞাত;

(১০) “পিতা ও মাতা” অর্থ কোন ব্যক্তির বৈধিক জন্মদাতা ও গর্ভধারিণী এবং হিন্দু আইন অনুযায়ী দত্তক গ্রহণকারী পিতা ও মাতাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(১১) “ফরম” অর্থ এই বিধিমালার সহিত সংযোজিত ফরম;

(১২) “বর্তমান ঠিকানা” অর্থ কোন ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানা নহে এইরূপ কোন ঠিকানা যেখানে তিনি ৬ (ছয়) মাসের অধিক সময় বসবাস করিতেছেন বা করিবার উদ্দেশ্যে অবস্থান করিতেছেন বা একই উদ্দেশ্যে পুনরায় পূর্বে বসবাস করিয়াছেন;

(১৩) “বয়স এনকোড” অর্থ শিশুর জন্মের সময় উপস্থিত উপযুক্ত চিকিৎসক বা কোন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান চাকুরিরত নার্স বা প্যারামেডিক্যাল স্টাফ;

(১৪) “শিক্ষা প্রতিষ্ঠান” অর্থ সরকারি, বেসরকারি, আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উহা যে নামেই অভিহিত হউক না কেন;

(১৫) “শিক্ষাগত সনদপত্র” অর্থ সরকার কর্তৃক স্বীকৃত কোন বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠান হইতে প্রদত্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সনদপত্র;

(১৬) “সনদ” অর্থ আইনের অধীন জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন সহিত সিলিখিত তথ্যের ভিত্তিতে নিবন্ধক কর্তৃক প্রদত্ত জন্ম বা মৃত্যু সনদ বা উহার প্রত্যায়িত অনুলিপি;

(১৭) “সনদ প্রহণকারী” অর্থ আইনের ধারা ৪ এ বর্ণিত নিবন্ধক কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি যিনি জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন আবেদনে উল্লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে জন্ম বা মৃত্যু সনদ গ্রহণ করেন;

(১৮) “সনদ যাচাইকারী” অর্থ আইনের ধারা ৪ এ বর্ণিত নিবন্ধক কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি যিনি জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন আবেদনে উল্লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত জন্ম বা মৃত্যু সনদের সঠিকতা যাচাই করেন;

(১৯) “সরকারি পরিদর্শক” অর্থ ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক মনোনীত একজন উপযুক্ত কর্মচারী, পৌরসভা ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত একজন কর্মচারী এবং সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনীত একজন কর্মচারী;

(২০) “স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান” অর্থ এই বিধিমালার ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন;

(২১) “স্থায়ীভাবে বসবাসের স্থান” অর্থ কোন ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানা বা কোন ব্যক্তি যে স্থানে ন্যূনতম ৩ (তিন) বৎসর যাবৎ বসবাস করিতেছেন অথবা নদী ভাঙ্গন বা অন্য কোন কারণে স্থায়ী ঠিকানা বিনষ্ট হওয়ার সূত্রে যে কোন স্থানে যে কোন সময়ের জন্য বসবাস করিতেছেন বা নতুন কোন স্থানে কোন সুত্রে সম্পত্তি ক্রয় করিয়া বা কোন সূত্রের জন্য উক্ত স্থানে বসবাস করিতেছেন।

(২) এই বিধিমালায় ব্যবহৃত যে সকল শব্দ বা অভিব্যক্তির সংজ্ঞা প্রদান করা হয় নাই, সেই সকল শব্দ বা অভিব্যক্তি আইনে যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে প্রযোজ্য হইবে।

৩। নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সাধারণ বিধান ।—(১) নিবন্ধক আবেদনপত্রের মাধ্যমে প্রাপ্ত নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি লিপিবদ্ধ করিয়া জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করিবেন, যথা:-

(ক) জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ব্যক্তির নাম, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, জন্মস্থান, পিতা ও মাতার (এবং দত্তক সন্তানের ক্ষেত্রে, যদি থাকে) বর্তমান বয়স, পিতা ও মাতার জন্য নিবন্ধন নম্বর (যদি থাকে), জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরসহ (যদি থাকে) নাম এবং বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা;

(খ) মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির নাম, জন্ম নিবন্ধন নম্বর (যদি থাকে), জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (যদি থাকে), মৃত্যুর তারিখ, লিঙ্গ, বয়স, মৃত্যুর স্থান, মৃত্যুর কারণ, পিতা ও মাতা এবং স্বামী অথবা স্ত্রীর নাম (যদি থাকে) এবং বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা;

(গ) দফা (ক) ও (খ) তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি এশিয়া, এশিয়াই, জাতীয় কিম্বা ব্যক্তি, শিশু বা মাতৃজাতিভূমি পরিচয়হীন হোক তৎসত্বে পশ্চাৎপদ বা ঠিকানাহীন বা হোম কর্মী হওয়ায় নিবন্ধক তথ্যের যাচাইয়ে সামর্থ্য উক্ত ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন প্রত্যাখ্যান করিতে পারিবেন না এবং এইরূপ ক্ষেত্রে যেসকল তথ্য অসম্পূর্ণ থাকিবে সেসকল স্থানে “অজ্ঞাত” শব্দ লিখিয়া জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করিতে হইবে।

(২) আবেদনকারীর আবেদনপত্রের মাধ্যমে প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম, জন্ম বা মৃত্যুর তারিখ, লিঙ্গ, জন্ম বা মৃত্যুস্থান, মৃত্যুর কারণ ইত্যাদি প্রদত্ত অন্যান্য তথ্য অসম্পূর্ণ থাকিলে আবেদনকারী সেইরূপ বর্ণনা করিবেন, নিবন্ধক সেইরূপই উহা লিপিবদ্ধ করিবেন এবং মৃত ব্যক্তির পরিচয় অজ্ঞাত হইলে পুলিশ কর্তৃক দাখিলকৃত সুরতহাল প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নিবন্ধক মৃতদেহ সমাদান স্থানে মৃত ব্যক্তির শারীরিক আকৃতি, প্রকৃতি বা বিশেষ চিহ্ন লিপিবদ্ধ করিয়া মৃতদেহ স্থানে অজ্ঞাত পরিচয় লিপিবেন।

(৩) উপ-বিধি (২) অনুসারে নির্দিষ্ট ব্যক্তির অসম্পূর্ণিত তথ্য (যথা:- পিতা ও মাতা, স্বামী বা স্ত্রীর নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, ইত্যাদি) জ্ঞাত হইবার সঙ্গে সঙ্গে জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ব্যক্তি এবং অথবা নির্দিষ্ট ব্যক্তির পিতা ও মাতা এবং মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ব্যক্তির পিতা ও মাতা, স্বামী-স্ত্রী, পুত্র-কন্যা বা অন্যান্যরা উত্তরাধিকারীগণের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে উপযুক্ত আদালতের নির্দেশে নিবন্ধক জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন সনদ সংশোধন করিবেন।

(৪) জন্ম নিবন্ধনের পূর্বে কোন ব্যক্তি বা জন্ম গ্রহণের পরপরই কোন শিশু মৃত্যুবরণ করিলে সেই সকল ক্ষেত্রে নিবন্ধক প্রথমে জন্ম এবং অতঃপর মৃত্যু নিবন্ধন করিবেন এবং মৃত ব্যক্তির পরিচয় অজ্ঞাত হইলে সেই ক্ষেত্রে শুধু মৃত্যু নিবন্ধন করিবেন।

৪। নিবন্ধকের দায়িত্ব ।—নিবন্ধক আইনের ধারা ৬ এর দফা (ক), (খ) ও (গ) তে বর্ণিত দায়িত্বসমূহ দক্ষ (ঘ) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নিম্নবর্ণিত দায়িত্ব পালন করিবেন, যথা:-

(ক) নিবন্ধন সংক্রান্ত সকল ফরম সরবরাহ নিশ্চিতকরণ;

(খ) নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় মালামালের স্টক নির্ণয়ন;

(গ) নিবন্ধন সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টিকরণ কর্মসূচি গ্রহণ;

(ঘ) নিবন্ধন অগ্রগতি মূল্যায়ন;

(ঙ) কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বা অন্যবিধ উপায়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সহিত তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সংগৃহীত প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ;

(চ) স্বাস্থ্যকর্মী বা পরিবার পরিকল্পনাকর্মীর নিকট জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আবেদনপত্র বিতরণ, পূরণকৃত আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ বিতরণের জন্য প্রেরণ;

(ছ) রেজিস্ট্রার জেনারেল কর্তৃক বর্ণিত অন্য যে কোন দায়িত্ব।

৫। রেজিস্ট্রার জেনারেল এর দায়িত্ব ও কার্যাবলী ।-রেজিস্ট্রার জেনারেল এর দায়িত্ব ও কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথা:—

(ক) নিবন্ধকগণের নিকট জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সংশ্লিষ্ট সকল ফরম সরবরাহ নিশ্চিতকরণ;

(খ) নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহ, সংরক্ষণ, নির্ণয়ন ও বিতরণ;

(গ) নিবন্ধক কার্যালয় পরিদর্শন;

(ঘ) নিবন্ধন সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টিকরণ কর্মসূচি গ্রহণ;

(ঙ) তথ্য প্রযুক্তি বা অভিজ্ঞতা উন্নত পদ্ধতির সাহায্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন তথ্য সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, স্থাপন ও সংরক্ষণ এবং একতাবদ্ধ কার্যাবলি প্রণয়ন ও উন্নতকরণ;

(চ) জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন তথ্যাদি আদান-প্রদানের জন্য দেশি, বিদেশি, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে আন্তঃসম্পর্ক স্থাপন এবং তথ্য আদান-প্রদানের জন্য কার্যবিধি সম্পাদন;

(ছ) নিবন্ধক ও তাহার কার্যালয়ের কর্মচারীগণের জন্য নিবন্ধন কার্যে সম্পৃক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান;

(জ) বাজেট প্রণয়ন এবং নিরীক্ষাসহ আর্থিক জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ;

(ঝ) নিবন্ধন অগ্রগতি মূল্যায়ন;

(ঞ) নিবন্ধক কর্তৃক কি বাবদ আদায়কৃত অর্থের হিসাব সংরক্ষণ ও সরকার নির্ধারিত খাতে জমা প্রদান নিশ্চিতকরণ;

(ট) আইনের ধারা ১৫ ও ১৫ক এ বর্ণিত গভীরতে নিয়ন্ত্রণ বই এবং জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন সনদ সংশোধন ও বাতিলকরণ সংক্রান্ত বিষয়াদির তত্ত্বাবধান;

(ঠ) অধস্তন কর্মচারীগণের বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন লিখন এবং ক্ষেত্র বিশেষে, প্রতিস্বাক্ষর; এবং

(ড) সরকার কর্তৃক সময় সময় বর্ণিত অন্য যে কোন দায়িত্ব পালন।

৬। প্রধান নির্বাহী ।—আইনের ধারা ৭(ক) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, রেজিস্ট্রার জেনারেল জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের প্রধান নির্বাহী হইবেন এবং তিনি উক্ত কার্যালয়ের যাবতীয় কার্যাবলীর জন্য দায়ী থাকিবেন।

৭। ক্ষমতা অর্পণ ।—রেজিস্ট্রার জেনারেল আইনের ধারা ১১ এর অধীন দক্ষতীয় কোন অপরাধ তদন্তের জন্য তাহার কার্যালয়ের কোন সহকারী রেজিস্ট্রার জেনারেল বা তদূর্ধ্ব কর্মচারী বা পরিচালক, স্থানীয় সরকার বা জেলা প্রশাসক বা উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তাহার ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবেন।

৮। তথ্য প্রদানকারী অন্যান্য ব্যক্তি ।—(১) কোন ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যুর সময় আইনের ধারা ৮ এ উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গের কেহ উপস্থিত না থাকিলে সেই ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিবর্গের যে কেহ জন্ম বা মৃত্যুর ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে জন্ম বা মৃত্যুর তথ্য নিবন্ধকের নিকট প্রেরণ করিবেন, যথা:-

(ক) জন্মের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ভাই, বোন, পিতামহ, পিতামহী, মাতামহ বা মাতামহী এবং মৃত্যুর ক্ষেত্রে পিতা, মাতা, ভাই, বোন, পুত্রবধূ, জামাতা, পৌত্র, পৌত্রী, দৌহিত্র বা দৌহিত্রী;

(খ) কোন প্রতিষ্ঠানে জন্ম বা মৃত্যুর ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি;

(গ) কোন দালান বা বাড়িতে জন্ম বা মৃত্যুর ক্ষেত্রে উক্ত দালান বা বাড়ির মালিক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি;

(ঘ) কোন সড়কস্থান, মৌদান বা আকাশযানে জন্ম বা মৃত্যুর ক্ষেত্রে উক্ত স্থান পরিচালনাকারী বা নিয়ন্ত্রণকারী বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি; এবং

(ঙ) রাস্তা বা উন্মুক্ত স্থানে জন্ম বা মৃত্যুর ক্ষেত্রে, উক্ত রাস্তা বা উন্মুক্ত স্থান যে থানার অধীন সেই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

(২) আইনের ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ট) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নিবন্ধক তাহার নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, সমাজসেবী, মসজিদের ইমাম, পুরোহিত বা সরকার (অক্ষ্যদিগিরী) সম্প্রদায়ী বা অনুরূপ গ্রহণযোগ্য কোন ব্যক্তি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী বা ছাত্রছাত্রী বা অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কোন শিশুর জন্ম বা কোন ব্যক্তির মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব প্রদান করিতে পারিবেন।

দ্বিতীয় অধ্যায় (জন্ম নিবন্ধন)

৯। জন্ম নিবন্ধন ।—(১) নিবন্ধক ফরমি ফরম-১ অনুযায়ী আবেদনপত্রের সহিত নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি ব্যক্তি সাপেক্ষে তাহার অধিক্ষেত্রে বসবাসকারী বা জন্ম গ্রহণকারী ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন করিবেন, যথা:—

(ক) ব্যক্তির জন্মের ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে দাখিলকৃত আবেদনপত্রের সহিত নিম্নলিখিত প্রমাণাদি সংযুক্ত করিতে হইবে, যথা:—

(অ) জনুূমান ও জন্ম তারিখের প্রমাণ হিসাবে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বা উক্ত প্রতিষ্ঠান হইতে প্রাপ্ত জন্ম সংক্রান্ত সনদের সত্যায়িত অনুলিপি অথবা কার্ড এটেনডেন্ট এর প্রত্যয়ন বা অন্য কোন প্রমাণপত্র; অথবা

(আ) ব্যক্তি স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণ হিসাবে ব্যক্তির নিজের বা পিতা বা মাতা বা পিতামহ বা পিতামহীর স্থানে পুরানো স্থায়ী ঠিকানা হিসাবে ভোটার দাতাভূক্ত বিদ্যমান বা বিগত দাতাভুক্ত কর পরিশোধের প্রমাণপত্র অথবা পিতা বা মাতা বা পিতামহ বা পিতামহীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টে ভোটার স্থায়ী ঠিকানা বা অন্যকোন প্রমাণপত্র এবং জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের বৈধতা পরীক্ষার জন্যে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, জন্ম নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির পিতা ও মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখপূর্ব উহার সনদ দাখিল করিতে হইবে;

(ই) নদী ভাঙ্গন বা অন্য কোন কারণে স্থায়ী ঠিকানা বিনষ্ট হইয়া থাকিলে নতুন স্থায়ী কর্মের অনুকূল প্রমাণক হিসাবে জমির বা বাড়ি ক্রয়ের দলিল, খাজনা ও কর পরিশোধের রশিদ, প্রভৃতি দাখিল করিলে নতুন কর্মের ঠিকানা স্থায়ী ঠিকানা হিসাবে গণ্য করা যাইবে;

(ঈ) কোন কারণে কোন ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানা না থাকিলে স্থায়ী ঠিকানার স্থলে অস্থায়ী ঠিকানা অনুযায়নের নিয়ন্ত্রণের নিকট জন্ম নিবন্ধন করিতে হইবে এবং এই ক্ষেত্রে আইনের ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীগণের এই মর্মে প্রত্যায়ন করিতে হইবে যে, উক্ত ব্যক্তির কোন স্থায়ী ঠিকানা নাই; এবং

(উ) পূর্বে জন্ম নিবন্ধন হয় নাই এই মর্মে আবেদন ফরমে আবেদনকারীর ঘোষণা;

(খ) ব্যক্তির জন্মের ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন পরে ফরমি ফরম-১ অনুযায়ী দাখিলকৃত আবেদনপত্রের সহিত দফা (ক) তে বর্ণিত দলিলাদি ছাড়াও নিম্নলিখিত প্রমাণাদি সংযুক্ত করিতে হইবে, যথা:-

(অ) জন্মের ৫ (পাঁচ) বৎসরের মধ্যে আবেদন করিলে যথাযথভাবে পূরণকৃত আবেদনপত্রে হাসপাতাল কর্মীর প্রত্যয়ন অথবা হাসপাত কার্ডের অনুলিপি; অথবা

(আ) জন্মের ৫ (পাঁচ) বৎসর পর আবেদন করা হইলে বয়স প্রমাণের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়ন পত্র; অথবা

(ই) সরকার কর্তৃক পরিচালিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট এবং শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা অনুরূপ পরীক্ষার শিক্ষাগত সনদপত্র।

(২) উপ-বিধি (১) এর অধীন আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর নিবন্ধক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি পরবর্তী ১৫ (পনের) কার্য দিবসের মধ্যে সনদ প্রদানের সম্ভাব্য তারিখ উল্লেখপূর্বক আবেদনকারীর অংশে স্বাক্ষর করিয়া উহা আবেদনকারীর নিকট হস্তান্তর করিবেন।

(৩) নিবন্ধক জন্ম নিবন্ধন আবেদনপত্রটি পরীক্ষা করিয়া যদি নিশ্চিত হন যে, উক্ত আবেদন-পত্রের সকল প্রয়োজনীয় অংশ সঠিকভাবে পূরণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি সংযুক্ত করা হইয়াছে এবং পূর্বে উক্ত ব্যক্তির কোনও জন্ম নিবন্ধন হয় নাই, তাহা হইলে তিনি সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) কার্য দিবসের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করিয়া ফরমি ফরম-২ অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন বহিতে লিপিবদ্ধ করিয়া আবেদনকারীর নিকট ফরমি ফরম-৩ অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর করিবেন।

(৪) নিবন্ধক পিতামহের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা আবেদনকারী সন্তুষ্ট হইলে তিনি আইনের ধারা ২০ এর বিধান অনুসারে আপীল দায়ের করিতে পারিবেন।

(৫) আবেদন মুদ্রিত ফরমে বা অনলাইনে যে কোন পদ্ধতিতে করা হইবে এবং মুদ্রিত ফরমে আবেদন করিলে নিবন্ধক উহা সর্বক্ষণিকভাবে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসারে অনলাইনে এন্ট্রি করিবেন এবং অনলাইন আবেদনপত্রের ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদন দাখিলের পর আবেদনকারী অনলাইন হইতে মুদ্রিত আবেদনপত্রের কপি নিবন্ধকের নিকট দাখিল করিবেন।

(৬) আবেদনপত্রে ব্যক্তির পূর্ণ নাম, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ ও মাতার নাম, পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (যদি থাকে), পিতা ও মাতার বর্তমান বয়স (জীবিত-মৃত সকল সন্তানকে গণনায় আনয়ন করিয়া), জন্মস্থান মারীরিক কোন খুঁটি চিহ্ন কিনা, জন্ম স্থান, স্থায়ী ঠিকানা, জন্মস্থানে পিতা-মাতার বসবাসের ঠিকানা সম্বলিত তথ্যাদি লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

(৭) জন্ম তারিখ একবার নিবন্ধন করা হইলে পরবর্তীতে আইনের ধারা ১৫ এর বিধান অনুযায়ী উহা সংশোধন করা যাইবে।

১০। প্রবাসীগণের জন্ম নিবন্ধন ।—(১) বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে নিবন্ধক ফরমি ফরম-১ অনুযায়ী আবেদনপত্রের সহিত নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি প্রাপ্তি সাপেক্ষে তাহার অধিক্ষেত্রে বসবাসকারী বা জন্ম গ্রহণকারী ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন করিবেন, যথা:—

(ক) জন্মজ্ঞান ও জন্ম তারিখের প্রমাণ হিসাবে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বা উক্ত প্রতিষ্ঠান হইতে প্রাপ্ত জন্ম সংক্রান্ত সনদের অনুলিপি অথবা কার্ড এটেনডেন্টের প্রত্যয়ন অথবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বেশিন চিটজেন পাসপোর্টের প্রথম ২ (দুই) পাতার অনুলিপি;

(খ) পিতা বা মাতার বেশিন চিটজেন পাসপোর্টের প্রথম ০৭ (সাত) পাতার অনুলিপি;

(গ) পিতা বা মাতা অথবা নিজের পাসপোর্টে বর্ণিত স্থায়ী ঠিকানাই ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানা হিসাবে গণ্য হইবে;

(ঘ) আবেদনকারী কোন ভৌতিক কারণে বাংলাদেশি পাসপোর্ট উপস্থাপন বার্থ হইলে নিবন্ধক কর্তৃক প্রয়োজনবোধে চাহিত স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানা সংক্রান্ত অন্য কোন কাগজপত্রাদির অনুলিপি; এবং

(ঙ) পূর্বে জন্ম নিবন্ধন হয় নাই এই মর্মে আবেদনপত্রে আবেদনকারীর ঘোষণা।

(২) আবেদন মুদ্রিত ফরমে বা অনলাইনে যে কোন পদ্ধতিতে করা হইবে এবং মুদ্রিত ফরমে আবেদন করিলে নিবন্ধক উহা কর্তৃপক্ষিকভাবে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসারে অনলাইনে লিপিবদ্ধ করিবেন এবং অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন আবেদন দাখিলের পর আবেদনকারী অনলাইন হইতে মুদ্রিত আবেদনপত্রের কপি নিবন্ধকের নিকট হস্তান্তর করিবেন।

(৩) উপ-বিধি (২) এর অধীন আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর নিবন্ধক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি পরবর্তী ৭ (সাত) কার্য দিবসের মধ্যে সনদ প্রদানের তারিখ উল্লেখপূর্বক আবেদনকারীর অংশে স্বাক্ষর করিয়া উহা আবেদনকারীর নিকট হস্তান্তর করিবেন।

(৪) উপ-বিধি (২) এর অধীন জন্ম নিবন্ধন আবেদনপত্রটি পরীক্ষা করিয়া যদি নিশ্চিত হন যে, উক্ত আবেদনপত্রের সকল প্রয়োজনীয় অংশ সঠিকভাবে পূরণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি সংযুক্ত করা হইয়াছে এবং পূর্বে জন্ম নিবন্ধন হয় নাই, তাহা হইলে তিনি পরবর্তী ৭ (সাত) কার্য দিবসের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করিয়া ফরমি ফরম-২ অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন বহিতে লিপিবদ্ধ করিয়া ফরমি ফরম-৩ অনুযায়ী আবেদনকারীর নিকট জন্ম নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর করিবেন।

(৫) উপ-বিধি (২) এর অধীন জন্ম নিবন্ধন আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর নিবন্ধক জন্ম নিবন্ধন আবেদনপত্রটি পরীক্ষা করিয়া যদি নিশ্চিত হন যে, উক্ত আবেদনপত্রের সকল প্রয়োজনীয় অংশ সঠিকভাবে পূরণ করা হয় নাই ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি সংযুক্ত করা হয় নাই, তাহা হইলে তিনি উপ-বিধি (৩) এর বিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি জমা প্রদানের জন্য আবেদনকারীকে লিখিতভাবে অনুরোধ করিবেন।

(৬) উপ-বিধি (৫) এর বিধান অনুযায়ী বর্ণিত লিখিত অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনকারী কর্তৃক উপ-বিধি (১) এর বিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি নিবন্ধকের নিকট জমা প্রদান করিলে নিবন্ধক পরবর্তী ৭ (সাত) কার্য দিবসের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করিয়া ফরমি ফরম-২ অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন বহিতে লিপিবদ্ধ করিয়া ফরমি ফরম-৩ অনুযায়ী আবেদনকারীর নিকট জন্ম নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর করিবেন।

(৭) উপ-বিধি (১)-(৭) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রবাসে কোন বাংলাদেশীর মৃত্যু হইলে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ দূতাবাস মৃত ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন যে নিবন্ধক কার্যালয়ে সম্পাদিত হইয়াছে সেই জন্য 

তৃতীয় অধ্যায় (মৃত্যু নিবন্ধন)

১১। মৃত্যু নিবন্ধন।(১) মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তি যে নিবন্ধকের কার্যালয়ে জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করিয়াছেন, ব্যক্তির মৃত্যুর পর সেই নিবন্ধকের কার্যালয় মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির মৃত্যু নিবন্ধনের আবেদনপত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে মৃত্যুর সনদ ইস্যু করিবে।

(২) মৃত ব্যক্তির নিবন্ধন ইতোপূর্বে অনলাইনে সম্পন্ন হইয়া থাকিলে মৃত ব্যক্তির আইনানুগ উত্তরাধিকারীর আবেদনক্রমে ব্যক্তির মৃত্যুর অব্যবহিত পূর্বে যে স্থানে স্থায়ীভাবে বসবাস করিয়াছেন সেই স্থানের সংশ্লিষ্ট নিবন্ধক মৃত ব্যক্তির মৃত্যু নিবন্ধন করিতে পারিবেন এবং এইরূপে নিবন্ধিত তথ্যাদি জন্ম নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষ তথা নিবন্ধককে লিখিতভাবে অবহিত করিতে হইবে এবং মৃত্যু নিবন্ধন তথ্যের অতিরিক্ত জাতীয় পরিচয়পত্র নম¦র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), মৃত্যুর তারিখ, মৃত্যুর স্থান, মৃত্যুর কারণ এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, মৃত ব্যক্তির স্বামী বা স্ত্রীর নাম উল্লেখ করিতে হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, আইন কার্যকর হইবার তারিখ অর্থাৎ ৩ জুলাই, ২০০৬ এর পূর্বে মৃত ব্যক্তির মৃত্যু নিবন্ধন আইন বা এই বিধিমালার অধীন করা যাইবে না।

(৩) মৃত্যু নিবন্ধন আবেদনপত্রটি মুদ্রিত ফরমে বা অনলাইনে যে কোন পদ্ধতিতে করা যাইবে এবং মুদ্রিত ফরমে আবেদন করিলে নিবন্ধক উহা নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে অনলাইনে লিপিবদ্ধ করিবেন এবং অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদন দাখিলের পর আবেদনকারী অনলাইন হইতে মুদ্রিত আবেদনপত্রের কপি নিবন্ধকের নিকট দাখিল করিবেন।

(৪) উপ-বিধি (৩) এর অধীন ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে দাখিলকৃত আবেদনপত্রের সহিত নিম্নবর্ণিত এক বা একাধিক প্রত্যয়ন বা কাগজপত্রাদি সংযুক্ত করিতে হইবে, যথা:

(ক) সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বা চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত মৃত্যু সংক্রান্ত প্রত্যয়ন পত্রখ অথবা

(খ ) সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মীর প্রত্যয়ন পত্রখ অথবা

(গ) মৃত ব্যক্তির ময়না তদন্ত প্রতিবেদনের সত্যায়িত অনুলিপিখ অথবা

(ঘ) সংশ্লিষ্ট সমাধি বা সৎকারস্থলের কেয়ারটেকার কর্তৃক প্রদত্ত দাফন বা সৎকার রসিদের অনুলিপিখ অথবা

(ঙ) সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বা পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের ক্ষেত্রে ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত মৃত্যু সংক্রান্ত প্রত্যয়ন পত্রখ অথবা

(চ) মৃত ব্যক্তির জানাযা সম্পন্নকারী ইমাম এবং অন্যান্য ধর্মের ক্ষেত্রে পুরোহিত বা সৎকার (অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া) সম্পন্নকারী কর্তৃক মৃত্যু সংক্রান্ত প্রত্যয়ন পত্রখ

(ছ) দফা (ক) হতে (চ) তে বর্ণিত প্রত্যয়ন পত্র পাওয়া সম্ভব না হইলে, সেই ক্ষেত্রে নিবন্ধক যেইরূপ প্রয়োজন মনে করেন মৃত্যু সংক্রান্ত সেইরূপ অন্য কোন কাগজপত্রাদির অনুলিপিখ

(জ) মৃত ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন সনদখ এবং

(ঝ) মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য আবেদনকারী ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি।

(৫) উপ-বিধি (৩) এর অধীন জমনি ফরম-৪ অনুযায়ী মৃত্যু নিবন্ধন আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর নিবন্ধক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি আবেদনকারীর পরিচয় যাচাই করিয়া মৃত্যু নিবন্ধন সনদ সংগ্রহের জন্য একটি তারিখ নির্দিষ্ট করিয়া আবেদনকারীর অংশে স্বাক্ষর করিবেন এবং উহা আবেদনকারীর নিকট হস্তান্তর করিবেন।

(৬) উপ-বিধি (৩) এর অধীন আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর নিবন্ধক মৃত্যু নিবন্ধন আবেদনপত্রটি পরীক্ষা করিয়া যদি নিশ্চিত হন যে, তাহার অধিক্ষেত্রের মধ্যে ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন হইয়াছে,

আবেদনপত্রের সকল প্রয়োজনীয় অংশ সঠিকভাবে পূরণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি সংযুক্ত করা হইয়াছে এবং পূর্বে মৃত্যু নিবন্ধন হয় নাই, তাহা হইলে তিনি ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন সম্পন্ন করিয়া জমনি ফরম-৫ অনুযায়ী মৃত্যু নিবন্ধন বহিতে লিপিবদ্ধ করিয়া জমনি ফরম-৬ অনুযায়ী আবেদনকারীর নিকট মৃত্যু নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর করিবেন।

(৭) নিবন্ধকের অধিক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন না হইয়া থাকিলে, ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন যে নিবন্ধকের কার্যালয়ে সম্পাদিত হইয়াছে সুপারিশ সহকারে মৃত্যু নিবন্ধন সম্পন্ন করিবার জন্য উপর্যুক্ত, সেই নিবন্ধক কার্যালয়ে আবেদপত্রটি প্রেরণ করিবেন।

(৮) মৃত ব্যক্তির কোথাও জন্ম নিবন্ধন না হইয়া থাকিলে, আবেদনপত্র গ্রহণকারী নিবন্ধক ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করিয়া মৃত্যু নিবন্ধন করিবেন।

(৯) ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন পর দাখিলকৃত আবেদনপত্রের সহিত উপ-বিধি (৪) এ বর্ণিত প্রত্যয়ন বা কাগজপত্রাদি ছাড়াও বিল¤ে¦র কারণ স¤¦লিত ব্যাখ্যা দাখিল করিতে হইবে।

(১০) সনদ বিতরণের জন্য উপ-বিধি (৫) অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখে নিবন্ধক মৃত্যু নিবন্ধন সনদ প্রদান করিবেন এবং সনদ প্রদান সম্ভব না হইলে প্রত্যাখানের কারণ উল্লেখপূর্বক আবেদনকারীকে উহা লিখিতভাবে অবহিত করিবেন।

১২। প্রবাসীগণের মৃত্যু নিবন্ধন।(১) উপ-বিধি (২) এর বিধান অনুসারে নিবন্ধক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য প্রেরণ করা হইলে নিবন্ধক তাহার অধিক্ষেত্রে মৃত্যুবরণকারী বাংলাদেশীর মৃত্যু নিবন্ধন করিবেন।

(২) আবেদনপত্র মুদ্রিত ফরমে বা অনলাইনে যে কোন পদ্ধতিতে করা যাইবে এবং মুদ্রিত ফরমে আবেদন করিলে নিবন্ধক উহা অনলাইনে এন্ট্রি করিবেন এবং অনলাইনে আবেদনপত্রের ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদন দাখিলের পর আবেদনকারী অনলাইন হইতে মুদ্রিত আবেদনপত্রের কপি নিবন্ধকের নিকট দাখিল করিবেন।

(৩) উপ-বিধি (২) এর অধীন প্রেরিত মৃত্যু নিবন্ধন আবেদনপত্রের সহিত নি¤œবর্ণিত এক বা একাধিক প্রত্যয়ন বা কাগজপত্রাদি সংযুক্ত থাকিতে হইবে, যথা:

(ক) সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত মৃত ঘোষণা সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্রখ বা

(খ) সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের মৃত্যু সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্রখ বা

(গ) মৃত ব্যক্তির ময়না তদন্ত প্রতিবেদনের অনুলিপিখ বা

(ঘ) নিবন্ধক যেইরূপ প্রয়োজন মনে করেন মৃত্যু সংক্রান্ত সেইরূপ অন্য কোন কাগজপত্রাদির অনুলিপি।

(৪) উপ-বিধি (২) এর অধীন জমনি ফরম-৪ অনুযায়ী আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর নিবন্ধক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি পরবর্তী ৭ (সাত) কার্য দিবসের মধ্যে সনদ প্রদানের সম্ভাব্য তারিখ উল্লেখপূর্বক আবেদনকারীর অংশ স্বাক্ষর করিয়া উহা আবেদনকারীর নিকট হস্তান্তর করিবেন।

(৫) উপ-বিধি (২) এর অধীন মৃত্যু নিবন্ধন আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর নিবন্ধক মৃত্যু নিবন্ধন আবেদনপত্রটি পরীক্ষা করিয়া যদি নিশ্চিত হন যে, উক্ত আবেদনপত্রের সকল প্রয়োজনীয় অংশ সঠিকভাবে পূরণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি সংযুক্ত করা হইয়াছে এবং পূর্বে মৃত্যু নিবন্ধন হয় নাই, তাহা হইলে তিনি পরবর্তী ৭ (সাত) কার্য দিবসের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন সম্পন্ন করিয়া জমনি ফরম-৫ অনুযায়ী মৃত্যু নিবন্ধন বহিতে লিপিবদ্ধ করিয়া জমনি ফরম-৬ অনুযায়ী আবেদনকারীর নিকট মৃত্যু নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর করিবেন।

(৬) উপ-বিধি (২) এর অধীন মৃত্যু নিবন্ধন আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর নিবন্ধক আবেদনপত্রটি পরীক্ষা করিয়া যদি নিশ্চিত হন যে, উক্ত আবেদনপত্রের সকল প্রয়োজনীয় অংশ সঠিকভাবে পূরণ করা হয় নাই ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি সংযুক্ত করা হয় নাই, তাহা হইলে তিনি উপ-বিধি (৩) এর বিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি জমা প্রদানের জন্য আবেদনকারীকে লিখিতভাবে অনুরোধ করিবেন।

(৭) নিবন্ধক কর্তৃক উপ-বিধি (৬) এ বর্ণিত লিখিত অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনকারী কর্তৃক উপ-বিধি (৩) এর বিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি নিবন্ধকের নিকট জমা প্রদান করিলে নিবন্ধক পরবর্তী ৭ (সাত) কার্য দিবসের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন সম্পন্ন করিয়া জমনি ফরম-৫ অনুযায়ী মৃত্যু নিবন্ধন বহিতে লিপিবদ্ধ করিয়া জমনি ফরম-৬ অনুযায়ী আবেদনকারীর নিকট মৃত্যু নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর করিবেন।

(৮) উপ-বিধি (১)-(৭) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রবাসে কোন বাংলাদেশীর মৃত্যু হইলে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ দূতাবাস মৃত ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন যে নিবন্ধক কার্যালয়ে সম্পাদিত হইয়াছে সেই জন্ম নিবন্ধকের কার্যালয়ে মৃত্যুর তথ্য প্রেরণ করিয়া আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি আবেদনকারীকে বা তাহার কোন নিকট আত্মীয়কে বা উক্ত মৃত ব্যক্তির সঙ্গীয় কাউকে প্রদান করিবেন।

চতুর্থ অধ্যায় (সনদের প্রতিলিপি প্রদান)

১৩। সনদের প্রতিলিপি প্রদান।(১) নিবন্ধিত কোন ব্যক্তির সনদ হারাইয়া গেলে বা নষ্ট হইলে, নিবন্ধক, উপ-বিধি (২) ও (৩) এর বিধান সাপেক্ষে, জমনি ফরম-৭ অনুযায়ী উক্ত ব্যক্তির আবেদন প্রাপ্তির ৭ (সাত) কার্য দিবসের মধ্যে জমনি ফরম-৩ ও জমনি ফরম-৬ অনুযায়ী জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদের প্রতিলিপি প্রদান করিবেন।

(২) বিধি ২১ এ নির্ধারিত ফিস প্রদান সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত কোন ব্যক্তি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদের প্রতিলিপির জন্য জমনি ফরম-৭ অনুযায়ী নিবন্ধকের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন, যথা:

(ক) যাহার জন্য জন্ম সনদ প্রদান করা হইবে তাহার বয়স ১৮ (আঠার) বৎসর বা তদূর্ধ্ব হইলে তিনি স্বয়ংখ অথবা

(খ) জন্ম তথ্য প্রদানকারীখ অথবা

(গ) মৃত্যু তথ্য প্রদানকারীখ অথবা

(ঘ) জন্ম বা মৃত্যু তথ্য দ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি।

(৩) উপ-বিধি (২) এর অধীন আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর নিবন্ধক যদি নিশ্চিত হন যে, উক্ত আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করা হইয়াছে এবং ফিস প্রদান করা হইয়াছে তাহা হইলে তিনি আবেদনকারীর অংশ স্বাক্ষরপূর্বক উহা আবেদনকারীর নিকট হস্তান্তর করিবেন।

(৪) উপ-বিধি (৩) এর অধীন আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর নিবন্ধক সনদের প্রতিলিপি প্রস্তুত করিবেন এবং আবেদনকারীর অংশ গ্রহণ করিয়া সনদের প্রতিলিপি আবেদনকারীর নিকট হস্তান্তরের ব্যবস্থা করিবেন।

(৫) প্রতিলিপি সনদের উপরিভাগে প্রতিলিপি বা উঁঢ়ষরপধঃব শব্দটি এবং, ক্ষেত্রমত, সংশোধিত সনদের ক্ষেত্রে সংশোধিত শব্দটি উল্লেখ থাকিবে এবং প্রথম বার জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন সনদ যে তারিখে ইস্যু হইয়াছে প্রতিলিপি সনদ ইস্যুর সেই তারিখ বহাল থাকিবে ও প্রতিলিপি সনদ ইস্যুর তারিখ লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

পঞ্চম অধ্যায় (রেকর্ড সংরক্ষণ, সংশোধন এবং পরিবীক্ষণ)

১৪। নিবন্ধন বহি সংরক্ষণ।(১) নিবন্ধক জন্ম নিবন্ধন তথ্য ব্যবস্থায় এবং প্রযুক্তিগত কারণে কোন নিবন্ধকের কার্যালয়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন তথ্যব্যবস্থা বা তথ্যব্যবস্থা পুনঃস্থাপন না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন বহিতে জন্ম বা মৃত্যুর তথ্য সংরক্ষণ করিবেন।

(২) জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন তথ্য ব্যবস্থায় জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য সংরক্ষণের জন্য পৃথক নিবন্ধন বহি ব্যবহার করিতে হইবে এবং প্রতিটি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বহিতে ২০০টি পৃষ্ঠা ও প্রতি পৃষ্ঠায় ১২টি লাইন থাকিবে।

(৩) নিবন্ধক প্রতিটি জন্ম বা মৃত্যু তথ্য ক্রমানুসারে ক্রমিক নম্বর প্রদানপূর্বক নিবন্ধন বহিতে অন্তর্ভুক্ত করিবেন যাহা নিবন্ধন ন¤¦র এর অংশ হিসাবে ব্যবহার করা যাইবে।

(৪) নিবন্ধক তাহার কার্যালয়ে প্রতি বৎসরের জানুয়ারি মাসে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন তথ্য ব্যবস্থায় পূর্ববর্তী বৎসরের নিবন্ধনকৃত সকল জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বহির প্রিন্ট কপি বাঁধাই করিয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রেকর্ড রুমে সংরক্ষণের জন্য প্রেরণ করিবেন।

(৫) এই বিধিমালার বিধানাবলি অনুযায়ী দাখিলকৃত ফরমগুলি নিবন্ধক বৎসরওয়ারী সাজাইয়া তাহার কার্যালয়ে উহা দাখিলের তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) বৎসর পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণ করিবেন এবং উক্ত সময় অতিবাহিত হইবার পর সরকারি পরিদর্শকের অনুমোদনক্রমে এবং তাহার নির্দেশনানুসারে উহা পোড়াইয়া বিনষ্ট করিতে পারিবেন।

১৫। জন্ম বা মৃত্যু সনদ সংশোধন ও বাতিল।(১) আইনের ধারা ১১, ১৩ ও ১৫ তে বর্ণিত বিধান অনুসরণপূর্বক রেজিস্ট্রার জেনারেল অথবা তাহার পক্ষে অন্য কোন ক্ষমতাসম্পন্ন কর্মচারীর নিকট হইতে কারিগরি সহায়তা গ্রহণ করিয়া জন্ম বা মৃত্যু সনদ বাতিল বা সংশোধন করা যাইবে।

(২) বিধি ২১ এ নির্ধারিত ফিস প্রদান করিয়া জমনি ফরম-৮ অনুযায়ী কোন ব্যক্তি জন্ম বা মৃত্যু সনদ সংশোধন বা বাতিলের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।

(৩) কোন ব্যক্তির অনুকূলে সরল বিশ্বাসে বা অন্য কোন যৌক্তিক কারণে একাধিক জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন সনদ ইস্যু হইয়া থাকিলে, নিবন্ধনপ্রাপ্ত উক্ত ব্যক্তি বা, ক্ষেত্র বিশেষে, তাহার আইনানুগ অভিভাবকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিবন্ধক যাচাই করিয়া অপ্রয়োজনীয় সনদটি বাতিল করিবেন।

(৪) নিবন্ধক, কোন ব্যক্তির অনুকূলে অসৎ উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে একাধিক জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন সনদ ইস্যুর তথ্য প্রাপ্ত হইলে, উহা যাচাই করিয়া দায়ী ব্যক্তির সনদ বাতিল এবং উক্ত দায়ী ব্যক্তি বা উহার সহিত সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে আইনের ধারা ২১ এর বিধান অনুযায়ী দÐমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।

(৫) মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন সনদ বাতিল করা হইলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আবেদনক্রমে নিবন্ধক শুনানি গ্রহণ করিবেন এবং মিথ্যা তথ্য প্রদানকারী বা সনদ লিপিবদ্ধকারী বা ইস্যুকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ অভিযোগ উত্থাপিত হইলে রেজিস্ট্রার জেনারেল বা উপ-রেজিস্ট্রার জেনারেলের পূর্বানুমোদনক্রমে উপযুক্ত আদালতে মামলা দায়ের করিতে এবং মামলার রায়ের ভিত্তিতে আইনের ধারা ১৫ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।

(৬) বাতিলকৃত জন্ম বা মৃত্যু সনদের বিষয়ে নিবন্ধকগণ স্ব স্ব কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ্যে নোটিশ টাঙ্গানোর মাধ্যমে সর্বসাধারণকে অবহিত করিবেন।

১৬। ভুল তথ্য অন্তর্ভুক্তি বা তথ্য বিনষ্ট বা বিকৃতকরণে বাধা নিষেধ।কোন ব্যক্তি নিবন্ধন বহিতে ইচ্ছাকৃত কোন ভুল তথ্য অন্তর্ভুক্ত করিলে বা করিবার চেষ্টা করিলে বা অন্তর্ভুক্ত তথ্য বিনষ্ট বা বিকৃত করিলে বা করিবার চেষ্টা করিলে বা বিধি ১৯ এর উপ-বিধি (৩) এর অধীন পাসওয়ার্ডধারী কোন ব্যক্তি নিবন্ধন বহিতে কোন ভুল তথ্য অন্তর্ভুক্ত করিলে বা করিবার চেষ্টা করিলে বা অন্তর্ভুক্ত তথ্য বিনষ্ট বা বিকৃত করিলে বা করিবার চেষ্টা করিলে বা পাসওয়ার্ডধারী কোন ব্যক্তিকে কোন কাজ করিতে বাধ্য বা উৎসাহিত বা সহায়তা করিলে বা উক্ত অপরাধ সংঘটনের জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করিলে উহা আইনের ধারা ২১ অনুযায়ী দÐযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে।

১৭। পরিসংখ্যান প্রতিবেদন।(১) প্রতি বৎসরের জানুয়ারি, এপ্রিল, জুলাই ও অক্টোবর মাসের ৫ (পাঁচ) তারিখের মধ্যে এই বিধিমালার সহিত সংযোজিত জমনি ফরম-৯ পূরণ করিয়া জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের পরিসংখ্যান ইউনিয়ন পরিষদ অধিক্ষেত্রের নিবন্ধকগণ সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট, পৌরসভা ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অধিক্ষেত্রের নিবন্ধকগণ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের নিকট এবং সিটি কর্পোরেশন অধিক্ষেত্রের নিবন্ধকগণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিবেন।

(২) সকল ইউনিয়ন পরিষদ হইতে উপ-বিধি (১) এর অধীন পূরণকৃত জমনি ফরম-৯ প্রাপ্তির পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উক্ত পরিসংখ্যান জমনি ফরম-১০ এ একীভূত করিয়া উপ-বিধি (১) এ বর্ণিত মাসের ১০ (দশ) তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করিবেন।

(৩) সকল ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হইতে উপ-বিধি (১) এর অধীন পূরণকৃত জমনি ফরম-৯ ও সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট হইতে উপ-বিধি (২) এর অধীন পূরণকৃত জমনি ফরম-১০ প্রাপ্তির পর জেলা প্রশাসক উক্ত পরিসংখ্যান জমনি ফরম-১১ তে একীভূত করিয়া উপ-বিধি (১) এ বর্ণিত মাসের ১৫(পনের) তারিখের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনারের নিকট প্রেরণ করিবেন।

(৪) রাষ্ট্রদূত ও সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাগণ উপ-বিধি (১) এর অধীন পূরণকৃত জমনি ফরম-৯ ও বিভাগীয় কমিশনারগণ উপ-বিধি (৩) এর অধীন পূরণকৃত জমনি ফরম-১১ প্রাপ্তির পর উক্ত পরিসংখ্যান জমনি ফরম-১২ তে একীভূত করিয়া উপ-বিধি (১) এ বর্ণিত মাসের ২০ (বিশ) তারিখের মধ্যে রেজিস্ট্রার জেনারেলের নিকট প্রেরণ করিবেন।

(৫) সকল রাষ্ট্রদূত, বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি কর্পোরেশনের নিকট হইতে উপ-বিধি (৪) এর অধীন পূরণকৃত জমনি ফরম-১২ প্রাপ্তির পর রেজিস্ট্রার জেনারেল ত্রৈমাসিক পরিসংখ্যান প্রতিবেদন জমনি ফরম-১৩ প্রস্তুত করিয়া সরকারি গেজেটে প্রকাশ করিবেন।

১৮। তত্ত¡াবধান, পরিদর্শন ও প্রতিবেদন।(১) প্রতি ৬ (ছয়) মাসে অন্যূন একবার সরকারি পরিদর্শক নিজ অধিক্ষেত্রের নিবন্ধকের কার্যালয় পরিদর্শন করিবেন এবং পরিদর্শনের ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে প্রতিবেদন প্রস্তুত করিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ জেলা প্রশাসক বরাবর এবং অন্যান্য সরকারি পরিদর্শকগণ রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর প্রতিবেদন প্রেরণ করিবেন।

(২) উপ-বিধি (১) এর অধীন প্রস্তুতকৃত পরিদর্শন প্রতিবেদনে নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত থাকিতে হইবে, যথা:

(ক) নিবন্ধন বহি ও অন্যান্য ফরম যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও ব্যবহার এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন যথাযথভাবে হইতেছে কিনাখ

(খ) জন্ম বা মৃত্যুর ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে সকল ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন করা হইতেছে কিনাখ

(গ) ইতোপূর্বেকার পরিদর্শন প্রতিবেদনে বর্ণিত পরামর্শ বাস্তবায়ন করা হইতেছে কিনাখ

(ঘ) বিধি মোতাবেক ফিস আদায় এবং উহা সংশ্লিষ্ট খাতে নিয়মিতভাবে জমা দেওয়া হইতেছে কিনাখ

(ঙ) জন্ম ও মৃত্যু সনদ যথাযথভাবে বিতরণ করা হইতেছে কিনাখ

(চ) ছাপানো ফরম ও নিবন্ধন বহির যোগান রহিয়াছে কিনাখ

(ছ) তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে যথাযথভাবে জন্ম ও মত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালিত হইতেছে কিনা

(জ) জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে কর্মী স্বল্পতা বা অন্য কোন সমস্যা রহিয়াছে কিনাখ এবং

(ঝ) যথাযথ বলিয়া বিবেচিত অন্য যে কোন বিষয়।

(৩) জেলা প্রশাসক জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় সভায় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সংক্রান্ত কার্যক্রমের পরিদর্শন প্রতিবেদন ও বিধি ১৭ এর উপ-বিধি (১) এ প্রদত্ত পরিসংখ্যান প্রতিবেদন পর্যালোচনার জন্য উপস্থাপন করিবেন।

(৪) উপ-বিধি (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, জেলা প্রশাসক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার সংশ্লিষ্ট জেলাধীন যে কোন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধকের কার্যালয় পরিদর্শন করিতে পারিবেন এবং উপ-বিধি (২) এ উল্লিখিত বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত করিয়া পরিদর্শন প্রতিবেদন তাহার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট দাখিল করিবেন এবং উহার অনুলিপি সংশ্লিষ্ট নিবন্ধক কার্যালয়ে প্রেরণ করা হইলে উক্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নিবন্ধকগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।

(৫) সিভিল সার্জন, উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, পৌরসভার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের এক্সিকিউটিভ অফিসার মাসিক ভিত্তিতে তাহার এলাকাধীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম এবং জন্মের বা মৃত্যুর ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন হইতেছে কিনা উহা পরিবীক্ষণ ও নিশ্চিত করিবেন।

(৬) পরিদর্শন প্রতিবেদন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হইয়াছে কিনা বা নিবন্ধক অফিস সরকারি নিরীক্ষক কর্তৃক নিরীক্ষিত হইলে উহা বাস্তবায়ন করা হইয়াছে কিনা উহা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পৌরসভা, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড ও সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার নিশ্চিত করিবেন এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রার জেনারেল এর নিকট রিপোর্ট করিবেন।

(৭) রেজিস্ট্রার জেনারেল দূতাবাস এর নিবন্ধন সংক্রান্ত কার্যক্রম তদারক করিবেন।

ষষ্ঠ অধ্যায় (তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য সংরক্ষণ ও প্রেরণ)

১৯। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য সংরক্ষণ, গোপনীয়তা ও ব্যবহার ।—(১) তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ থাকিলে নিবন্ধক নিজ অধিক্ষেত্রে সরাসরি নিবন্ধন বহির পরিবর্তে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য লিপিবদ্ধ করিবেন এবং উভয়প ত্রুটিসহ না থাকিলে আইনের ধারা ১৪ এর উপ-ধারা (৩) এর বিধান অনুযায়ী নিবন্ধক নির্ধারিত বহি ছাড়া জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য সমাজে পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করিবেন।

(২) তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করিবার জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেল জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয় হইতে সফটওয়্যার নির্মাণ ও ব্যবস্থাপ্রণয়ন করিবেন এবং তৈরীকৃত সফটওয়্যারের মাধ্যমে জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্যাসমূহ একটি কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারে সংরক্ষণ করিবে।

(৩) সফটওয়্যার ব্যবহারের জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেল বিভিন্ন ধরনের ব্যবহারকারী (যেমন: Administrator, Local Administrator, Registrar, Authorized Person, Data entry operator, Informant, Statistical Data Viewer, Support team member, ইত্যাদি) সৃজন করিবেন ও তাহাদের অনুকূলে পাসওয়ার্ড প্রদান করিবেন এবং তাহাদের কার্যপদ্ধতি রেজিস্ট্রার জেনারেল কর্তৃক প্রণীত কার্যপদ্ধতি অনুযায়ী পরিচালিত হইবে।

(৪) নিবন্ধক তাহার কার্যালয়ে নির্দিষ্টে স্থানে কর্টরীয়ার আওতায় চাকরিরত কোন কর্মচারীর অনুকূলে রেজিস্ট্রার জেনারেল এর নিকট হইতে Authorized Person হিসাবে ব্যবহারকারী পরিচিতি ও ‘পাসওয়ার্ড’ পাইবেন, যাহার মাধ্যমে উক্ত কর্মচারী সফটওয়্যারাদিতে প্রবেশ করিয়া জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ক কর্মাদি সম্পন্ন করিতে পারিবেন এবং এইরূপ সকল ব্যবহারকারীর পরিচিতি সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার কর্তৃক যথাযথভাবে যাচাইকৃত হইতে হইবে।

(৫) Data entry operator বা Informant হিসাবে নিবন্ধকের চাহিদা অনুযায়ী তাহার কার্যালয়ে বা অধিক্ষেত্রে এক বা একাধিক ব্যক্তিকে ব্যবহারকারী পরিচিতি ও পাসওয়ার্ড প্রদান করা হইবে যাহারা কেবল জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য প্রদানের ক্ষমতাসম্পন্ন হইবেন।

(৬) ই-তথ্যের পদ্ধতি চালু হইলে জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য লিপিবদ্ধ হইবার পর নিবন্ধক তাহার অনুকূলে প্রদত্ত Registrar এর ব্যবহারকারী পরিচিতি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করিয়া ই-তথ্যের প্রদানপূর্বক সনদ ইস্যু করিবেন এবং নিবন্ধক ব্যতীত তাহার কার্যালয়ের অপর কোন কর্মচারী সনদ ইস্যু করিবার সুযোগ প্রাপ্ত করিবে না।

(৭) সরকারি মন্ত্রণালয়ের একজন সহকারী সচিব বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মচারী বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহের জন্য এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্ব-স্ব অধিক্ষেত্রে Local Administrator হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন।

(৮) অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন তথ্য প্রদানের জন্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কর্মী নিজ নিজ নিবন্ধক এলাকায় Informant এর ব্যবহারকারী পরিচিতি ও পাসওয়ার্ড পাইবে।

(৯) উপ-বিধি (২) এর অধীন কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারে সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত গোপনীয় বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং রেজিস্ট্রার জেনারেল উক্ত কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারে সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্তের গোপনীয়তা নিশ্চিত করিবেন।

(১০) উপ-বিধি (২) ও (৯) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন সনদের সঠিকতা যাচাই করিতে পারিবে।

(১১) জন্ম তথ্য যাচাই করিবার সুবিধার্থে সরকার ফরমি ফরম-৩ অনুযায়ী বার কোড বা মাইক্রোচিপ সম্বলিত মেশিন রিডেবল জন্ম নিবন্ধন কার্ড ইস্যু করিতে পারিবে।

২০। অনলাইনে আবেদন বা তথ্য প্রদান ।—(১) চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বা স্বাস্থ্যকর্মীর নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যুর তথ্য ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে নিবন্ধনের যোগ্য স্থানের নিবন্ধকের নিকট অনলাইনে প্রদান করিতে পারিবেন।

(২) বিদেশে জন্ম গ্রহণকারী শিশু ব্যতীত বাংলাদেশ দূতাবাস নিবন্ধনযোগ্য অন্যান্য ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যুর তথ্য ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানার নিবন্ধকের নিকট অনলাইনে প্রদান করিতে পারিবেন।

(৩) সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দূতাবাসসমূহ বিদেশে জন্ম হয় নাই এবে বৈধ পাসপোর্টধারী এমন কোন প্রবাসী বাংলাদেশীর নাগরিককে জন্ম নিবন্ধন করিতে পারিবে।

(৪) উপ-বিধি (১) এর অধীন অনলাইনে তথ্য প্রেরণের পর কম্পিউটার জেনারেটেড নম্বরসহ ব্যক্তির আবেদনপত্রের একটি প্রিন্ট কপি পাওয়া যাইবে এবং উক্ত প্রিন্ট কপি সহিত প্রয়োজনীয় দলিলাদি ও প্রত্যয়ন সংযুক্ত করিয়া, ক্ষেত্র বিশেষে, ব্যক্তি বা ব্যক্তির অভিভাবক সম্পূর্ণে নিবন্ধকের নিকট উহা দাখিল করিবেন।

(৫) উপ-বিধি (৪) এর বিধান অনুযায়ী আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর নিবন্ধক জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বিধি ৯ বা, ক্ষেত্রমত, বিধি ১০ এবং মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বিধি ১১ বা, ক্ষেত্রমত, বিধি ১২ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।

সূচিপত্র

Scroll to Top