বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জন্ম নিবন্ধন সনদ। সরকারি বেসরকারি সকল ক্ষেত্রেই এটি ব্যবহার হচ্ছে। যারা এখনো জন্ম নিবন্ধন সনদ পেননি বা তৈরি করনি, তাদের তাদের শিশুর সন্তান এবং নিজের জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করার জন্য তা দ্রুত করতে হবে। অনেকে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদের যাচাই পদ্ধতি জানেন না।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রাপ্তির পরও, সম্প্রতি এর স্থিতি যাচাই করার পদ্ধতি বা অনলাইন সনদের অংশ গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে অজ্ঞ থাকতে পারে। তাই আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলে আপনাদের নাম এবং জন্মতারিখ দিয়ে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের যাচাই করার পদ্ধতিগুলি নিয়ে আলোকপাত করবো।
পুরাতন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার নিয়ম জানতে ক্লিক করুন –https://everify.bdris.gov.bd/
যারা পুরাতন হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করেননি, তাদেরকে দ্রুত ডিজিটাল করার জন্য আমরা উপদেশ দিতে চাই। এটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন ব্যবহার করার সুযোগ নেই। আমাদের অনলাইন ডাটাবেজে তথ্য না থাকলে, আপনাকে নতুনভাবে আবেদন করতে হবে।
আমরা পূর্বে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনের রেজিস্টারে তথ্য সংরক্ষণ করতাম, তবে বর্তমানে সকল তথ্য অনলাইনে রাখা হচ্ছে। তথ্য অনলাইনে না থাকলে আপনার ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনের অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই করতে ক্লিক করুন- Birth and Death Verification
বাংলাদেশ সরকারের অনলাইন ডাটাবেজে যদি হাতে লেখা বা পুরোনো জন্ম নিবন্ধনের তথ্য খুঁজে না পাওয়া যায়, তবে প্রথমে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার জন্ম নিবন্ধনের নাম্বার ১৭ ডিজিটের এবং প্রথম চারটি ডিজিট আপনার জন্মের সালের সাথে মিল খাচ্ছে। যদি তথ্য সঠিক হয়, তবে সঠিক নিবন্ধন তথ্য প্রাপ্ত হলেও অনলাইনে না পাওয়া গেলে, নতুনভাবে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে হবে।
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা অবস্থা জানতে ক্লিক করুন- https://bdris.gov.bd/login
বর্তমানে সেই নিয়মটি আর প্রয়োজ্য নয়। তাই এখন থেকে যে কেউ পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার অনুমতি পেতে পারবে। পুরাতন হাতে লেখা বা জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার প্রথম ধাপে, আপনাকে অনলাইনে bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এবং পুনর্মুদ্রণ সেকশনে যেতে হবে। তারপর আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং জন্মতারিখ প্রবেশ করতে হবে। এই তথ্যগুলি সঠিক হলে, আপনি আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন।
এরপর আপনার সামনে প্রদর্শিত তথ্য যদি সঠিক হয়, তাহলে নিশ্চিত ক্লিক করতে হবে। পরবর্তীতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, উপজেলা, থানা, জেলা, মোবাইল নাম্বার, জন্ম নিবন্ধন কার্যালয়ের নাম সিলেক্ট করতে হবে। পরবর্তীতে সঠিক নিশ্চিত করে ক্লিক করতে হবে।
শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন- https://bdris.gov.bd/login
আপনি যদি আপনার নাম এবং ঠিকানা উল্লেখ করে পরিবারের সদস্য হিসেবে আবেদন করেন, তাহলে পরবর্তীতে আপনার পরিবারের সদস্যদের আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর দেখাতে হবে। সকল তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করার পর, একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি প্রদান করা হবে। এই আইডি আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংরক্ষণ করে এবং যখনই প্রয়োজন হবে, তখন আপনি জন্ম নিবন্ধন পুনর্মুদ্রণ করতে এই আইডি ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনার আবেদন পত্রের একটি কপি সংরক্ষণ করে রাখুন এবং আবেদনপত্র কপি স্থানীয় সরকার বিভাগ, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনের নির্দিষ্ট অফিসে জমা দেয়া প্রয়োজন। আপনি কিছু দিনের মধ্যে আপনার জন্ম নিবন্ধন পেতে সক্ষম হবেন।
জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই করার পাঁচটি উপায় আছে:
- 1. নাম এবং জন্ম তারিখ দিয়ে যাচাই করা যায়।
- 2. জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিয়ে যাচাই করা যায়।
- 3. নাম দিয়ে যাচাই করা যায়।
- 4. অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা যায়।
- 5. জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার অ্যাপস ব্যবহার করা যায়।
যে সব কাজের জন্য জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন:
- 1. জাতীয় পরিচয়পত্র লাভ।
- 2. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া।
- 3. ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য।
- 4. পাসপোর্ট তৈরি করতে।
- 5. বিবাহ নিবন্ধন করতে।
- 6. ভোটার দেওয়ার জন্য।
- 7. জমি রেজিস্ট্রেশন করতে।
- 8. ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য।
- 9. ব্যবসার লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য।
- 10. গ্যাস, পানি, টেলিফোন এবং বিদ্যুত সংযোগ পাওয়া।
- 11. ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর প্রাপ্তির জন্য।
- 12. ঠিকাদারী লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য।
- 13. গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করতে।
- 14. ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া।
- 15. বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করতে।
- 16. শিশু শ্রম প্রতিরোধ করতে।
যে সব সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে:
- 1. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারতে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন।
- 2. ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করার জন্য জন্ম নিবন্ধন আবশ্যক।
- 3. সরকারি এবং বেসরকারি চাকরির জন্য জন্ম নিবন্ধন আবশ্যক।
- 4. বিয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজন।
- 5. সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয, রেজিষ্ট্রেশনে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন।
- 6. ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন।
- 7. জন্ম নিবন্ধন না থাকলে আইন লংঘনের দণ্ড সহ্য করতে হতে পারে।